মোঃ সুজন,ডেমরা হতেঃ
ডেমরার সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের কাজে নেমেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকেই রাজধানীর ঢাকা-সিলেট ও ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার -রামপুরা সড়কে এ চিত্র দেখা যায়। স্বপ্রণোদিত হয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, কোনাপাড়া,বাশেরপুল,হাজীনগর, স্টাফ কোয়ার্টার, সারুলিয়াসহ বিভিন্ন পয়েন্টে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা তীব্র রোদের মধ্যে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন।
ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের কাজে দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থী কফিল আহমেদ রিদয় বলেন, “ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, রামপুরাসহ বিভিন্ন সড়কের চলাচল এই রাস্তার উপর দিয়েই যায়। আমরা চেষ্টা করছি এখানে যেন কোনক্রমেই যানজটের সৃষ্টি না হয়। এছাড়াও, যারা উল্টো পথে যানবাহন চালিয়ে আসছেন আমরা তাদেরকে সতর্ক করছি। পাশাপাশি মোটরসাইকেল আরোহীদেরকে হেলমেট ব্যবহারে অনুরোধ করছি এবং অবৈধ ভাবে চাদা নেওয়া সহ ন্যায্য ভারা
ব্যতীত বেশি না নেওয়ার অনুরোধ করছি, তিনি আরো বলেন আমাদের এ কার্যক্রমে সাধারণ জনগন ও পথচারি সন্তুষ্ট হয়ে তারা বিভিন্ন সময় আমাদের বিভিন্ন সহায়তা করছে।
পথচারী নাজমুল হাসান জানান, চলমান পরিস্থিতির কারণে ডেমরার কোথাও পুলিশ বিভাগ এবং ট্রাফিক বিভাগের লোকজন দেখা যায়নি। ডেমরা এলাকার তরুণদের প্রচেষ্টায়, এখন পর্যন্ত যানজট দেখা যাচ্ছে না। তরুণদের এমন উদ্যোগে আমরা আনন্দিত।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঘাসফুলের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, তরুণরাও যেভাবে রাস্তায় নেমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন, এ যেন অন্যরকম বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশের প্রত্যাশা আমরা সবসময় করি। তাদের চেহারায় আমি আগামীর বাংলাদেশ দেখছি। সমৃদ্ধির বাংলাদেশ দেখছি।”
ডেমরার সড়কে কাজে নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন ইসলামী ছাএ আন্দোলন বাংলাদেশ ডেমরা থানা নেতৃত্ববৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ডাঃ মাহবুব রহমান মোল্লা কলেজ, বামৈল আইডিয়াল হাইস্কুল, হাজী মোয়াজ্জেম আলী উচ্চ বিদ্যালয় সহ ডেমরার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।”