
মোঃ শফিকুল ইসলাম াডেমরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর ডেমরায় অভ্যন্তরীণ সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা—ইজিবাইক ও মিশুক স্বাভাবিক নিয়মে চলাচলের দাবি নিয়ে ফের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন চালকেরা। সোমবার সকাল থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত একযোগে ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার, হাজীনগর,গলাকাটা,বড়ভাঙ্গা, ডগাইর, বামৈল বাস্ট্যান্ড—কোনাপাড়া ও মীরপাড়া এলাকায় বিক্ষোভ করে চালকেরা।
এ সময় চালকেরা ডেমরা—যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা—রামপুরা সড়কে উঠে যান চলাচল বন্ধ করতে চাইলে হাজীনগর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে চালকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এ ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধদের ওপর টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় হাজীনগর এলাকায় রায়ট কার (এপিসি) দিয়ে এলাকায় ভীতি সঞ্চার করা হয়। এদিকে টিয়ার সেলের ধোয়ায় অনেক চালকের চোখ টকটকে লাল হওয়ার পাশাপাশি শ^াসকষ্ট শুরু হয় ও গুলিবিদ্ধ হন অনেকে। এদিকে আহতরা আশপাশের চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা নেয়। তবে এদিন কোনাপাড়া, বামৈল ও মীরাপাড়া এলাকায় ডেমরা থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. ফারুক মোল্লা ও পরিদর্শক সুব্রত কুমার পোদ্দার বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে আলোচনা করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন। তবে এদিন মীরপাড়া ও বামৈল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়কে আগুন জ¦ালিয়ে বিক্ষোভ করে চালকেরা।
এ বিষয়ে হাজীনগর এলাকায় গুলিবিদ্ধ মুন্না নামে এক চালক বলেন, আমরা ক্ষুধার জ¦ালায় রাস্তায় নেমেছি। আমাদের সংসার কে চালাবে? আমরা বেরোজগার হয়ে রাস্তা নেমেছি বলে পুলিশ কেন আমাদের গুলি করবে?।
এ বিষয়ে মিশুক চালক শাহ আলম বলেন, টিয়ার সেলের ধোয়ায় আমার লাল হয়ে গেছে। শ^াসকষ্ট দেখা দিয়েছে।
এদিকে অভ্যন্তরীণ সড়কে অটোরিকশা—ইজিবাইক ও মিশুক চলাচল বন্ধ থাকায় সকাল থেকে যাত্রীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। শিশু—বয়স্ক ও শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে অনেক পথ হেটে যেতে হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে বয়েকটি ভ্যানগাড়ীতেও মানুষ চলাচল করেছে। পরবর্তীতে ঢাকায় অটোরিকশা চলতে পারবে মর্মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন,উর্ধতনদের নির্দেশ অনুযায়ী ডেমরায় বিক্ষুব্ধদের দমন করেছি। তাদের প্রধান সড়কে উঠতে না দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।