ডেমরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর ডেমরায় চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে গ্রেফতার কুখ্যাত সাঈদ বাহিনীর প্রধান ও কিশোর গ্যাং লিডার মো. সাঈদকে (৩২) বৃহস্পতিবার বিকালে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আমতলা মার্কেট সংলগ্ন থেকে তাকে আটক করে ডেমরা থানা পুলিশ। এ সময় আব্দুল হক ফজলুল (৬৩) নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আদায় করা চাঁদার ৫ হাজার সাঈদের কাছ থেকে জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আরও ৪—৫ জন পালিয়ে যায়। এদিকে বুধবার রাতেই ভুক্তভোগী ফজলুল হক ডেমরা থানায় একাধিক মামলার আসামি ও এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সাঈদ ও পলাতকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। সাঈদ ডেমরার বাহির টেংরা এলাকার মৃত সেকান্দার আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বাদির বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, বাদি আব্দুল হক ফজলুল আমতলা বাহির টেংরা এলাকায় তার নিজস্ব জায়গায় ২ টি দোকান ঘর ভাড়া দেন জনৈক মো. জহির (৫০) ও মো. আফজাল মিয়ার কাছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই ২ দোকানে ব্যবসা করে আসছে বলে সাঈদ সংঘবদ্ধভাবে তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। এক পর্যায়ে গত ১ এপ্রিল রাতে সাঈদসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন বাদির কাছ থেকে ওই ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় বাদি ও দোকান ভাড়াটিয়াদ্বয় চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সাঈদ বাহিনী ৩ জনকেই দোকান ভাড়া দেওয়া ও ব্যবসা বন্ধসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
ওসি আরও বলেন, সাঈদ বাহিনীর এরুপ চাঁদাবাজিতে বাদিসহ এলাকার লাকেজন অতিষ্ঠ। তারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সাঈদের ভয়ে ভয়ে এলাকার কেউ শব্দ করতে সাহস পায়না। সে সবসময় সন্ত্রসী নিয়ে চলাফেরা করে। সাঈদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও সে কোর্ট থেকে জামিনে এসে একই কাজ করে আসছে।