সালে আহমেদ, ঢাকাঃ
চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ আদর্শে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বে শেখ হাসিনা এগিয়ে চলো বাংলাদেশ)
আজ ১৪ ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা বিজয়ের চূড়ান্ত সময়ে রাজাকারদের শেষ ছোবল।
‘রক্ত দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দানে পাওয়া নয়’ বিখ্যাত এই কবিতার লাইনটি বাঙালি জাতির জন্য যথেষ্ট যথার্থ। কেননা মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য চক্রান্ত করে। আর সেই চক্রান্তে প্রাণ হারান বাঙালি জাতির সূর্যসন্তানরা।
একাত্তরে ৩০ লাখ শহীদের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যার ঘটনা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। তারা শহীদ হন এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যেই বুদ্ধিজীবী নিধনের এ পরিকল্পনা করে। পরাজয় একেবারেই সন্নিকটে বুঝতে পেরে দেশীয় রাজাকারদের নিয়ে তারা সে পরিকল্পনা কার্যকর করে।
রাজাকারদের সহায়তায় তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়। তবে অপারেশন সার্চলাইটের নামে একাত্তরের ২৫ মার্চ যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি নিধনে নামে, তখনই বুদ্ধিজীবীদের এভাবে হত্যা করা হবে—দেশে ও দেশের বাইরে এমন উদ্বেগ ছিল।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের এ দেশীয় দোসর আলবদরের সাহায্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সংস্কৃতি কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করা হয়। পরে নিদারুণ যন্ত্রণা দিয়ে রায়ের বাজার ও মিরপুরে তাদের হত্যা করা হয়। এ দুটি স্থান এখন বধ্যভূমি হিসেবে সংরক্ষিত।
মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আলবদর বাহিনী আরো অনেক বুদ্ধিজীবীকে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে স্থাপিত আলবদর ঘাঁটিতে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের পর রায়ের বাজার বধ্যভূমি ও মিরপুর কবরস্থানে নিয়ে হত্যা করে।
তারা তাদের এ দেশীয় দোসরদের নিয়ে শিক্ষক, বিজ্ঞানী, চিন্তক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, ক্রীড়াবিদ, সরকারি কর্মকর্তাসহ বহু মানুষকে হত্যা করে। বিশেষ করে ১৪ ডিসেম্বর তারা ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের পর রাজধানীর রায়েরবাজার ইটখোলা ও মিরপুরের বধ্যভূমিসহ ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের চোখ-হাত বাঁধা ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায়।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, ডা. আলীম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লা কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক রশীদুল হাসান, ড.আবুল খায়ের, ড. মুর্তজা, সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান (লাডু ভাই), এএনএম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভিনসহ আরো অনেকে।
চূড়ান্ত বিজয়ের মুহূর্তে রাজাকারদের পরামর্শেই এ দেশের আলোর দিশারীদের খুঁজে খুঁজে বের করে হত্যা করে। এতে করে স্বাধীন সূর্য দেখে যেতে পারেননি সূর্য সন্তানরা। শোকাবহ এই দিনে আজ ১৪ ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস।১৯৭১ সালের এই দিনে বিজয়ের ৪৮ ঘন্টা পূর্বে এদেশকে মেধাশূন্য ও অকার্যকর করতে পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীদের নির্মমভাবে হত্যা করে।
বিভিন্ন পরিসংখ্যানে বুদ্ধিজীবী হত্যা সংখ্যায় এই রকম- শিক্ষাবিদ ৯৯১জন, সাংবাদিক ১৩জন, চিকিৎসক ৪৯জন, আইনজীবী ৪২জন, সাহিত্যিক ও শিল্পী ৯জন।
সকল শহিদ বুদ্ধিজীবিদের স্বরনে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পরিষদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ আব্দুর রশিদ মন্ডল রানা সভাপতি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি,
পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বীরপুত্র মোঃ হাবিবুর রহমান জয় যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পরিষদ,বিশেষ অতিথি বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি আরুপ মুন্সি, আরও উপস্থিত ছিলেন মোঃ ছোরাফ হোসেন শেখ আব্দুস সালাম সুজুন মোঃ ইকবাল হোসেন বীরপুত্র সৈয়দ রুহুল আমিন মিন্টু মোঃ ইয়াছিন মিয়া বীরপুত্র মোঃ শহিদুল ইসলাম বীরপুত্র মোঃ নুরুল ইসলাম বাবু মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, মোঃ আবু হানিফ মোহাম্মদ নুর নবী সহ কেন্দ্রীয় কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ