সালে আহমেদ, ডেমরাঃ
রাজধানীর ডেমরায় শান্তিবাগের একটি নির্মানাধীন ভবন থেকে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রেফতার ৩ জনকে বৃহস্পতিবার জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে ৩ দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে প্রেরন করেন ডেমরা থানা পুলিশ। গত সোমবার (২ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গত রোববার (১ অক্টোবর) রাতে ডেমরার বিভিন্ন এলাকায় থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো— ডেমরার কোনাপাড়া শান্তিবাগ এলাকায় বসবাসরত গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার বড় ভবানীপুর এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া (৩৩), একই এলাকায় বসবাসরত মাদারীপুর সদর থানার কুলপুদ্দি এলাকার সমেদ খাঁর ছেলে মীর হোসেন ওরফে মীরা (৫৩) ও যাত্রাবাড়ী থানার কদমতলা এলাকায় বসবাসরত ভোলা সদর থানার দক্ষিণ দীঘলদী এলাকার মো. আবু তাহেরের ছেলে আজগর হোসেন (২৭)।
অভিযুক্তদের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার অপারেশন অফিসার (ইন্সপেক্টর) সুব্রত কুমার পোদ্দার বলেন, গ্রেফতার মীরা পেশায় একজন সুইপার, সবুজ রড মিস্ত্রী ও সবজী বিক্রেতা এবং আজগর রিকশা চালক। ডেমরার সাইনবোর্ড এলাকার পার্শ্ববর্তী সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাইবোর্ডের দক্ষিণে প্রায়ই গানের আসর বসে। ওই আসর থেকেই এদের বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। এদিকে আসরটিতে সাধারণ বিভিন শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে ভ্রাম্যমান নারীরাও যোগ দেন। গত ২৬ অক্টোবর দিনগত রাত পৌনে ২ টার দিকে গ্রেফতারকৃতরা গানের আসর থেকে মেয়েটিকে অসৎ উদ্দেশ্যে শান্তিবাগের ওই ভবনে নিয়ে আসে। এ সময় অন্ধকার ভবনের ৪ তলায় উঠেন তারা। পরে রুম খুঁজতে গেলে অসাবধানতা বশত মেয়েটি সিড়ির ডান দিকে পা রাখতে গেলে লিফটের খোলা জায়গা দিয়ে নিচে পড়ে প্রাণ হারায় বলে অভিযুক্তরা জানায়।
সুব্রত কুমার আরও বলেন, তবে প্রাথমিক ধারণা মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে যা ময়না তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা যাবে। এদিকে লাশ শনাক্তের জন্য প্রতিদিনই পুলিশ গানের আসরে গিয়ে মেয়েটির পরিচয় বের করার চেষ্টা করছে আসরে আসা অন্যান্য মেয়েদের কাছে। এক্ষেত্রে মামলার সুষ্ঠ তদন্ত, ভিকটিমের পরিচয় সনাক্ত ও অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কিনা এসব তথ্য জানার চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য : গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শান্তিবাগ এলাকা থেকে অনুমান ১৭ বছর বয়সী তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মৃতের মুখের ডানপাশে চোয়ালের সাথে কান বরারবর কোন কিছু দিয়ে বাড়ি দেওয়া আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নাকে মুখে রক্ত দেখা গেছে। লাশের পড়নে ছিল কালো প্রিন্টের সালোয়ার কামিজ।