নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজধানী যাত্রাবাড়ী থানাধীন ৬৫ নং ওয়ার্ডের আহমদ বাগ এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম কন্ট্রাকটার।দেশ সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজে নিয়মিত একজন নির্মাণ ঠিকাদার। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের বাদুরা গ্রামে। তার পিতার নাম সুলতান খা ওরফে ফুল খাঁ।শাহ আলমের বিরুদ্ধে সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজে নির্মাণ কাজের ঠিকাদার হিসেবে ভুয়া বিল ভাউচার সহ শ্রমিকদের পাওনা টাকা আত্মসাৎ করার সহ নানা বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক গুলোতে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে কিছুদিন পূর্বে। এছাড়াও জামাত বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে শ্রমিক দের মিছিল মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করিয়ে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ করেন অনেকে। তাছাড়াও গ্রামের বাড়িতে অন্যের জমিতে নিজের সীমানা জাহির করে বিরোধের অনেক প্রমাণ মিলেছে অনুসন্ধানে। বিএনপি জামাতের অনুসারী হয়েও বর্তমান সময়ে দেশ সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারিসহ বিভিন্ন ভবনের ঠিকাদারি পাওয়ায় অনেকেই হতবাক হয়েছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন শাহ আলম কন্ট্রাকটারের খুটির জোর কোথায়?
গত কয়েক বছর পূর্বেও তিনি ছিলেন সহায় সম্বল হীন একজন ব্যক্তি। বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী এলাকা থেকে ঢাকার কোনাপাড়া এলাকায় এসে ভাড়া বাসায় থাকতেন। কোনদিন অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটতো তার। সংসার চালানোই তার পক্ষে ছিল কঠিন বিষয়। এরপর করতেন নির্মাণ শ্রমিকদের সাথে লেবারের কাজ। ডেমরা এলাকার জামাত নেতা নজরুল ইসলাম এর সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে শাহ আলম কন্ট্রাক্টরের। তিনি কাজ পাইয়ে দেন সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজে। সেই থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ওই স্কুলের নির্মাণ কাজে খরচের টাকা নয় ছয় হিসাব তুলে ধীরে ধীরে আখের গোছাতে থাকেন এই শাহ আলম কন্ট্রাক্টর। জামাত নেতা নজরুল ইসলাম যখন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে ছিলেন সেই সময়ে তার সবগুলো সাইটেরও দায়িত্ব পান শাহ আলম। এভাবে তিনি কোটি কোটি টাকা কামিয়ে আহমদবাগ এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করেন। ডেমরা বাদশা মিয়া রোড , মুসলিম নগর এলাকায় রয়েছে তার ফ্লাট, রুপগঞ্জ বরপা এলাকায় কিনেছেন জমি।
তার গ্রামে খোঁজ নিলে পটুয়াখালী জেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার সেলিম হাওলাদার জানান, বাদুরা গ্রামের ফুলখার ছেলে শাহ আলম কে আমি চিনি, তবে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সম্পর্কে আমি অবগত নই।