
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
যাত্রাবাড়ী থানায় ৬৫ নং ওয়ার্ডের আহমদবাগ এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম কন্ট্রাকটারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশসেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের ভবন নির্মাণ,রিপিয়ারিং থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ একাই করেন এই ঠিকাদার। তার বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের বিভিন্ন কাজে ভূয়া বিল ভাউচার তৈরি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন অনেকেই। নিম্ন মানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় বছর না ঘুরতে খসে পড়ে স্কুল ভবনের প্লাস্টার।আর এতেই শাহ আলমের ভাগ্য খুলে যায়।কারন তিনি ছারা এই প্রতিষ্টানের কাজ পাওয়ার মতো কেউ নেই।মোটা অংকের কমিশনের মাধ্যমে বছরের পর বছর এভাবে পার পেয়ে যাচ্ছেন তিনি।শুধু তাই নয় দেশ সেরা এই প্রতিস্টানে তার শ্যলিকাকে শিক্ষকের চাকুরী দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি এলাকায় ভূমিদস্যদের দখলকৃত জমিতে ভবন নির্মাণের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছেন এই শাহ আলম কন্ট্রাক্টার।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউকের কর্মকর্তাদের সাথে সু-সম্পর্ক রয়েছে তার। বিভিন্ন সময় তার সাইটে নির্মানধীন ভবন গুলোর ত্রুটি রাজউকের কর্মকর্তাদের কাছে ধরিয়ে দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আপোষ করান।অন্যথায় কেউ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ভবনে রাজউকের অভিযান পরিচালনা করা টীমের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করান এবং ভবনের বর্ধিত অংশ ভেঙে দেন। তার ঞ্জাত আয় বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে তা কোনোভাবেই তার ট্যাক্স ফাইলে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় গড়ে তুলেছেন একাধিক বাড়ি ও প্লট।
যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার আদর্শবাগে রয়েছে তার প্লট,ফ্ল্যাট এছাড়া রূপগঞ্জের বরপা এলাকায় রয়েছে প্লট। শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। শাহ আলম কন্টাকটারের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলায়। হেলপার থেকে ধীরে ধীরে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শ্রমিক জানান শাহ আলম বিএনপি জামাতের আন্দোলন সংগ্রামে অর্থের যোগানদাতা।
এই বিষয়ে শাহআলম কন্ট্র্রাকটরের সাথে কথা বললে তিনি সংবাদকর্মীকে জানান আমি ভাত খাইতে ভাত পাইনা,করি লেবারের কাজ,আপনারা আমাকে নিয়ে কিছু লিখবেন না।