মোঃ বাবুল হোসেন,ঢাকাঃ
প্রয়াত সংসদ সদস্য মাটি ও মানুষের নেতা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লার তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লা স্মৃতি সংসদের আয়োজনে সংগঠনটির সভাপতি ও ৬৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মোল্লা বাবুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও বৃহত্তর ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কৌশিক আহমেদ জসিমের সঞ্চালনায় রোববার বিকালে যাত্রাবাড়ীর ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা —৫ আসনের এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও প্রয়াত এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লার জ্যেষ্ঠ পুত্র আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজল প্রমূখ।
প্রধান অতিথি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস বলেন, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও ৪ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লা অহিংস রাজনীতির রূপকার ও গণমানুষের নেতা ছিলেন। ঢাকা—৫ নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি পরিবারের খবর রাখতেন তিনি। শুধু ঢাকা—৫ আসনের গণমানুষের নেতাই নয়, তিনি ছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যান্ত বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন নেতা। দলের দু:সময়ে হাবিবুর রহমান মোল্লা জীবন বাজি রেখে জাতির পিতা শেখ মুজিবুব রহমানের প্রতিটি নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেন। একইভাবে বঙ্গবন্ধুকণ্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের দূর্দিনে রাজপথে আন্দোলন—সংগ্রাম করতে গিয়ে বার বার কারাবরণ করেছেন। প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন—সংগ্রামেও তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু কখনোই তিনি বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপোষ করেননি। রাজনীতিতে কর্মী তৈরি ও এলাকার উন্নয়নে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
দোয়া মাহফিলে প্রয়াত হাবিবুর রহমান মোল্লার বড় ছেলে মশিউর রহমান মোল্লা সজল বলেন, আমার বাবা এই এলাকার মানুষের কল্যাণে আমৃত্যু কাজ করেছেন। আমরা সন্তানের চেয়ে এলাকার মানুষ তার কাছে বেশি আপন ছিল। সকল কর্মীর জন্য তার দরজা খোলা ছিল সবসময়। আব্বা রাজনীতি করতে গিয়ে অনেকবার জেল খেটেছেন। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু কখনোই বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার কোন বিষয়ে আপোষ করেননি।