
নারী লোভী ইভটিজারদের শিকার রূপা
রাজধানীর ডেমরায় বখাটেদের মারধরে মোছা. শাহানাজ আক্তার রূপা (৩৬) নামে আহত এক নারীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠায় ডেমরা থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের থানায় আনার পর তদন্ত শেষে এ ঘটনায় ৬ জনসহ অজ্ঞাত ২—৩ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলাটি করেন মৃতের বড়বোন পারভীন আক্তার। অভিযুক্তরা হলো— ডেমরার ডগাইর নতুনপাড়া ছাদেক ভূঁইয়া রোডের মৃত ইব্রাহিমের ছেলে মো. ইয়াছিন (২৮), একই এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে মো. সাব্বির (২৭), মো. বাদলের ছেলে মো. সিয়াম (২৬), জাবেদ শেখের ছেলে মো. কামাল (৩৮), আব্দুস সামাদের ছেলে বায়েজীদ (২২), মো. কামালের ছেলে মো. রুদ্র (১৮)। এদের মধ্যে ইয়াছিন ও সাব্বিরকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে (১৭ এপ্রিল) রূপার মৃত্যু হলে মঙ্গলবার দুপুরে ডগাইর সালামবাগ মসজিদ এলাকায় পিত্রালয় থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।
বাদির বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুর রহমান (পিপিএম) বলেন, স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ না থাকায় রূপা ডেমরায় পিত্রালয়ে বসবাস করে আসছিলেন। এদিকে কয়েক মাস যাবৎ যাওয়া আসার পথে ডগাইর এলাকার ‘লামিয়া ক্যাবল নেটওয়ার্কের’ কর্মচারী ইয়াছিন, মালিকের ছেলে রুদ্র ও সাব্বির, সিয়ামসহ কয়েকজন ইভটিজিং করে আসছিল।
ওসি আরও বলেন, গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রুপা কোনাপাড়া থেকে মার্কেটিং করে আসার সময় পুণরায় বিভিন্ন প্রকার খারাপ ভাষায় ইভটিজিং করার কারণে রুপা চিৎকার চেঁচামেচি করে। এ সময় নারী লোভী ওই ইভটিজাররা রূপাকে বেধড়ক মারধর করে রাস্তায় ফেলে যায়। পরে আহত অবস্থায় ভুক্তভোগীকে ১১ তারিখে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। গত ১২ এপ্রিল সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে রূপাকে বাসায় আনা হয়। গত ১৭ এপ্রিল গভীর রাতে রূপার অবস্থার অবনতি হয়ে মৃত্যু হয়