রমজানে ডেমরার কামাল হোসেনের মানবিক দৃষ্টান্ত
ডেমরা প্রতিনিধিঃ
পবিত্র মাহে রমজানে ডেমরায় এক মুদি ব্যবসায়ী দেখিয়েছেন অনন্য দৃষ্টান্ত।একজন মুদি দোকানদার ঘোষণা দিয়েছেন রমজানে লাভ ছাড়া ক্রয়মূল্য পণ্য বিক্রি করবেন।মুদি ব্যবসায়ীর চমৎকার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল। বিভিন্ন মুসলিম দেশে রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেয় আর বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই বাড়িয়ে দেয়- এই অপবাদ ঘোচাতে তার এই অসামান্য উদ্যোগ।
ডেমরার ৬৬ নং ওয়ার্ডের ডগাইর ফার্নিচার মোড় এলাকার কামাল এন্টারপ্রাইজ নামক মুদি দোকানদার মোঃ কামাল হোসেন রমজান মাসে ক্রেতার কাছে সকল পণ্য কেনা দামে বিক্রি করবেন। দোকানের সামনে একটি ফেস্টুন ঝুলিয়ে সেখানে লিখেছেন: ‘পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে প্রথম রমজান হতে শেষ রমজান পযন্ত সকল পণ্য যে দামে ক্রয় করেছোন সেই দামেই পণ্য বিক্রি করা হবে।’ রমজান উপলক্ষে কামাল হোসেনের ব্যতিক্রমী ও মানবিক উদ্যোগে খুশি হয়েছেন সচেতন মহলসহ এলাকাবাসী।তার এই প্রশংসনীয় কর্মকান্ড বিভিন্ন গ্রুপগুলোতে প্রশংসা ও সাধুবাদ জানাচ্ছে সচেতনমহল।এছাড়া প্রতি সপ্তাহে তিনি বিনামূল্যে ও পণ্য বিতরণ করেন।তারই ধারাবাহিকতায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ২ এপ্রিল ( রবিবার) সকালে সারিবদ্ধভাবে শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে পোলাও চাল,সেমাই,চিনি, ডাল,ভেশন ও ছোলা বিতরণ করছেন।
ক্রয়মূল্য পণ্য বিক্রির বিষয়ে কামাল এন্টারপ্রাইজ এর সত্বাধিকারী কামাল হোসেন বলেন, বাজারে দ্রব্য মূল্যের উধ্ধগতিতে দরিদ্র ও মধ্যবর্তী জনগোষ্ঠী বাজার সদাই করতে খুব কষ্টসাধ্য হয়। প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে আমি রমজান উপলক্ষে বিনামূল্যে পণ্য বিতরণ করে থাকি এবং রমজান মাসে লাভ ছাড়া ও বিক্রি করি কারন রমজান মাস হল সহানুভূতির মাস ও সওয়াবের মাস।১১ মাস ব্যবসা করার পর এক মাস ব্যবসার লাভ ছাড়া করি।এই মাস হলো জান্নাত কামিয়াবের মাস। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও কামিয়াবের লাভের আশায় সকল ব্যবসায়ীর উচিত স্বল্প লাভে বা ক্রয়মূল্য পণ্য বিক্রি করা। তিনি আরও জানালেন, আগের চাইতে তার এখন বিক্রি ও প্রসার বেড়েছে।
ডগাইর এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান আকন বলেন,কামাল হোসেনের ব্যবসায়িক পদ্ধতি টা ভালো লেগেছে। এভাবে যদি সকল ব্যবসায়ী রমজানে সহানুভূতি দেখাতো তাহলে ক্রেতা ও সাধারণ মানুষের কিছুটা সুবিধা হতো।আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখতে পারছি রমজান মাস আসলেই ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটরা গলাকাটার মতো দাম বাড়িয়ে মানুষের দূর্ভোগ সৃষ্টি করছে। কামাল হোসেনের মানবিক কর্মকাণ্ডে আমরা সবাই সন্তুষ্ট।