স্টাফ রিপোর্টার
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের কঠোর পরিশ্রম এবং ত্যাগ-তিতিক্ষার ফল পেলেন গোলাম মোস্তফা। সদ্য ঘোষিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে জায়গা পেলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা। ৭ই সেপ্টেম্বর ঘোষিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের ডিজিটাল আর্কাইভ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম মোস্তফা।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই নেতার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ঐতিহ্যবাহী রাজগৌরীপুর থানার ১নং মইলাকান্দা ইউনিয়নের টিকুরী গ্রামে। রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী পরিবারের সন্তান তিনি। গোলাম মোস্তফা অত্যন্ত মেধাবী, বিনয়ী এবং উচ্চ শিক্ষিত। স্কুল জীবন থেকেই এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। এই সময়ে তার বন্ধুদের নিয়ে এলাকায় বখাটেদের উৎখাত এবং গাঁজা-মাদক নির্মূলসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে অগ্রণি ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় তাকে।
উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে গোলাম মোস্তফা ভর্তি হন ময়মনসিংহের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজে। সেখান থেকে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে কৃতকার্য হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পান। পুরোনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যাপীঠে পড়ার সময় ছাত্রলীগের মিছিল-মিটিংয়ে সক্রিয় ছিলেন। তার মতো ত্যাগী-পরিশ্রমী এবং ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় নেতৃত্বকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর ১৮তম পদ ডিজিটাল আর্কাইভ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত করায় মোস্তফার পুরো গ্রামসহ মইলাকান্দা ইউনিয়ন এমনকি গৌরীপুরের রাজনীতি সচেতন এবং নেতাকর্মীদের মধ্যেও আনন্দ-উচ্ছ্বাস বইছে।
পরিশ্রম আর যোগ্যতার মূল্যায়ন করায় তারা সকলেই খুশি এবং দলের নীতি-নির্ধারকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে তার এলাকার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম বলেন, ‘সে অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ। এলাকার সর্বত্রই তার নাম-ডাক রয়েছে। তাকে নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই স্বপ্ন দেখে এসেছিলাম। নিজেকে সঠিক জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করে আজ সে আমাদের গর্বিত করেছে। আমার বিশ্বাস দলের এই পদের সঠিক ব্যবহার করে ভবিষ্যতে সে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’
আওয়ামী লীগের আরেক বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা ইদ্রিস আলী বলেন, ‘গোলাম মোস্তফা আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছে। সে আমাদের এলাকার গর্ব এবং অহংকার। আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠনের এই পদ আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং গৌরবেরও। সেজন্য আমরা স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন সহ কমিটি গঠনে সংশ্লিষ্ঠ সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।’